শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:২৫ অপরাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
পিরোজপুর শিক্ষককে হাতুড়িপেটা, বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার কাউখালীতে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান উপলক্ষে জনসচেতনতা ও প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত ভান্ডারিয়ায় স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিষয়ক কর্মশালা পিরোজপুরে হত্যা মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন নেছারাবাদে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে লোহার পুল ও প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ মঠবাড়িয়ায় ঘরের মেঝেতে পড়ে ছিল গৃহবধূর লাশ, স্বামী ও শ্বশুর আটক পিরোজপুর জেলা বিএনপির আংশিক আহবায়ক কমিটি ঘোষণা কাউখালীতে মন্ডপগুলোতে চলছে দুর্গা পূজার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি পিরোজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান নেছারাবাদে ২৬ জন শিক্ষকের বিদায় সংবর্ধনা পিরোজপুরে পিয়ার পদ্ধতিতে নির্বাচনের বিরুদ্ধে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ মিছিল ভান্ডারিয়ায় ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে নদীতে জাল ফেলছে জেলেরা! মিলছে না কাঙ্খিত ইলিশ পিরোজপুর ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন এর কমিটি গঠন: সোহাগ সভাপতি, মিঠু সম্পাদক কাউখালীতে অপহরণের তিন মাস পর সপ্তম শ্রেণীর স্কুল ছাত্রী উদ্ধার কাউখালীতে জেলের মরদেহ উদ্ধার ইউনিয়ন বিএনপির সেক্রেটারীকে প্রাণ নাশের হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ভাণ্ডারিয়া শাহাবুদ্দিন কামিল মাদ্রাসায় আলিম শ্রেণীর প্রথম ক্লাস উপলক্ষে দোয়া ও আলোচনা সভা ভাণ্ডারিয়ার চাঞ্চল্যকর আসমা হত্যার বিচার দাবিতে পিরোজপুরে মানববন্ধন কাউখালীতে ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠিত মঠবাড়িয়ায় বাবাকে হত্যার অভিযোগে ছেলে গ্রেফতার
নির্যাতনের শিকার হয়েও প্রতিকার পাচ্ছেন না মফস্বলের সাংবাদিকরা

নির্যাতনের শিকার হয়েও প্রতিকার পাচ্ছেন না মফস্বলের সাংবাদিকরা

থামছেই না সাংবাদিক নির্যাতন। শহর কিংবা মফস্বল সব খানের চিত্র প্রায় একই। তবে বর্তমানে মফস্বলের পেশাদার সাংবাদিদের ঝুঁকি আগের চেয়েও বেড়েছে।

বস্তুনিষ্ট সংবাদ পরিবেশন করতে গিয়ে স্থানীয় মাস্তান, মাদক ও চোরাকারবারিসহ প্রভাবশালীদের রোষানলে পড়তে হচ্ছে তাদের। এসব মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জড়িত অসাধু পুলিশ সদস্যদেরও শত্রুতে পরিনত হয় পেশাদার সাংবাদিকরা। যে কারনে প্রতিনিয়তই মিথ্যা মামলা, হয়রানি ও হামলার শিকার হন সাংবাদিকরা। বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আবু জাফর বলছেন, আইনের দীর্ঘসূত্রিতা, জটিল বিচারিক প্রক্রিয়া সেইসঙ্গে রাষ্ট্র ও প্রতিষ্ঠান পক্ষ থেকে কোন ধরণের সহযোগিতা না থাকার কারণে সাংবাদিক নির্যাতন ও সহিংসতা থামানো যাচ্ছেনা। সাংবাদিকদের স্বার্থ রক্ষায় সক্রিয় কোন প্ল্যাটফর্ম না থাকায় এই পেশা দিন দিন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। প্রতিকারও মিলছে না সহজে।
কেস স্ট্যাডি-১
কক্সবাজার বাণী পত্রিকার সম্পাদক ফরিদুল মোস্তফা খান। যিনি একটি মামলার আসামি হয়ে বর্তমানে ককসবাজার কারাগারে বন্দি। গত বছর ফরিদুলের স্ত্রী হাসিনা আক্তার বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, পুলিশের বিরুদ্ধে দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশের জেরে তার স্বামীকে মাদক মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। শুধু মামলা দিয়েই নয়, তার পরিবারকে নানাভাবে হয়রানি করছে টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাস ও সাবেক ওসি ফারিদ উদ্দিন খন্দকার। বিনা ওয়ারেন্টে গত ২১ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মিরপুর এলাকার বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায় টেকনাফ থানায়। সেখানে তিন দিন আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতন চালায় তার উপর। পরে মাদকের মিথ্যা মামলা দিয়ে আদালতে পাঠায়। থানায় তার উপর বর্ণনাতীত নির্যাতন চালানো হয়েছে। চোখে মরিচের গুড়া দিয়ে নির্যাতন চালানো হয়েছে। এ কারনে তার দু’টি চোখ নষ্ট হবার উপক্রম হয়েছে।কারা হাসপাতালের চিকিৎসক জানিয়েছেন তার এক চোখ একেবারে অকেজো হয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া তার হাত-পা ভেঙ্গে দিয়েছে পুলিশ। হাসিনা আক্তার আরো বলেন, কক্সবাজার থাকাবস্থায় পুলিশের নানা হয়রানির বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ সদর দপ্তরে অভিযোগ দেয়া হয়েছে।

কেস স্ট্যাডি-২
সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা কক্সবাজারে উন্নয়ন, ঘুষ,দুর্নীতি, সামাজিক, শিক্ষা, রাজনৈতিক এবং মাদক ও অপরাধ সম্পর্কিত সংবাদ প্রকাশ করেন। এতে অপকর্মকারী ঘুষখোর দুর্নীতিবাজদের চরিত্রের বিষয়টি প্রকাশ্যে চলে আসে। যে কারনে ক্ষিপ্ত হয় প্রভাবশালীরা। সঙ্গে যোগ দেয় প্রশাসনের অসাধু সদস্যরা। মাদকের সাথে সংশ্লিস্টতা এবং গ্রেপ্তার বানিজ্যের সংবাদ প্রকাশ করা হয় পুলিশের পরিদর্শক ওসির বিরুদ্ধে। এতে ক্ষিপ্ত হন ওই ওসি ।
কেস স্ট্যাডি-৩
দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকার জামালপুর প্রতিনিধি ও জামালপুর পল্লীকণ্ঠ প্রতিদিনের স্টাফ রিপোর্টার সাংবাদিক শেলু আকন্দ (৫২)। গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে জামালপুর শহরের দেওয়ানপাড়া এলাকায় সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে তার দুই পা ভেঙে দিয়েছে। শেলুকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে এবং পরদিন ঢাকায় জাতীয় পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। স্থানীয় সাংবাদিকদের অভিযোগ, এক সাংবাদিকের ওপর হামলার মামলার সাক্ষী হওয়ায় তার ওপর এই সন্ত্রাসী হামলা। শেলু আকন্দ জানান, প্রতিদিন সকাল ও রাতে ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে শহর বাইপাস রোড দিয়ে হাঁটাহাঁটি করেন। বুধবার রাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছলে ওৎপেতে থাকা পৌর কাউন্সিলর রুনু খানের ছেলে রাকিব খান, তুষার খান, স্বজন খান ও তুহিন খানসহ ৪/৫ জন তার ওপর হামলা চালায়। তারা লোহার পাইপ দিয়ে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে দুই পা ভেঙে দেয়। এ সময় চিৎকার করলে এলাকাবাসীরা ছুটে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। জামালপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি হাফিজ রায়হান সাদা জানিয়েছেন, সাংবাদিকের ওপর হামলার মামলায় সাক্ষী হওয়ার ঘটনায় শেলু আকন্দের ওপর এই হামলা। এতে জড়িত পৌর কাউন্সিলর রুনু খান ও রকিবখানসহ সকলকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। অন্যথায় জামালপুরের সকল কমর্রত সাংবাদিকরা কঠোর আন্দোলনে যাবে।
উল্লেখ্য, গত ১০ মাস আগে পেশাগত দায়িত্ব পালন কালে দৈনিক কালের কণ্ঠের সাংবাদিক মোস্তফা মনজুর ওপর হামলা করে বেধড়ক মারধর করে কাউন্সিলর রুনু খান, তার ছেলে রাকিব খান ও তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় জামালপুর থানায় মামলা দায়ে করা হয়েছিল। ওই মামলার ২নং সাক্ষী ছিলেন সাংবাদিক শেলু আকন্দ।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন










© All rights reserved © 2025 pirojpursomoy.com
Design By Rana